মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের অন্যতম সুপারহিট প্রকল্প হলো লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে মাস্টার স্ট্রোক হিসেবে কাজ করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সোনার প্রকল্প। যেখানে ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী রাজ্যের সব স্তরের পরিবারের মহিলাদের জন্য মাসিক ভাতার বন্দোবস্ত করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
মূলত রাজ্যের মহিলাদের আরও স্বাবলম্বী করে তুলতে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্রকল্পের শুরু করেন তিনি। প্রথমে প্রদত্ত অর্থের পরিমাণ ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও পরবর্তীতে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে টাকার পরিমাণ দ্বিগুণ করে দেওয়া হয় যেখানে ব্যতিক্রম হিসেবে তফসিলি জাতি বা উপজাতির মহিলাদের ক্ষেত্রে ১২০০ টাকা এবং অন্যান্যদের ক্ষেত্রে ১০০০ টাকার মাসিক ভাতার ব্যবস্থা করা হয়।
২০২৩ সালের পর থেকে বর্তমানে ২০২৫ সাল। রাজ্য সরকারের সুপারহিট এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের অর্থের পরিমাণ বাড়ানো নিয়ে কোনো ঘোষণা হয়নি নবান্নের তরফে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যের লক্ষ্মীদের এখন একটাই প্রশ্ন ২০২৬ এর ভোটের আগে কি আবারও একই ছন্দে বেড়ে দ্বিগুণ হতে চলেছে প্রকল্পের টাকা? আর দেরি নয়। ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে বিরাট তথ্য যা সকলের এই প্রশ্নের জবাব দেবে। বিশদে জানতে আজকের প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত পড়ে নিন।
বলে রাখি টাকার অঙ্ক বাড়ার পাশাপাশি নতুন আবেদনকারীদের টাকা কবে থেকে ঢুকবে, মে মাসেই প্রথম লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা নতুন আবেদনকারীদের একাউন্টে দেওয়া হবে কিনা সেই বিষয়েও রয়েছে বড় আপডেট। তাই আর দেরি না করে চলুন বিশদে আলোচনা করা যাক।
সূত্রের খবর অনুযায়ী ইতিমধ্যেই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের মে মাসের টাকা রাজ্যের মহিলাদের ব্যাংক একাউন্টে ঢুকতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের জেলাগুলির মধ্যে প্রথম পর্বের কয়েকটি জেলায় লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা দেওয়া হয়েছে আবেদনকারীদের একাউন্টে। আবার কিছু কিছু জেলায় চলছে টাকা দেওয়ার কাজ।
এরই মাঝে অনেকদিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের প্রদত্ত অর্থের পরিমাণ দ্বিগুণ বৃদ্ধি করতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তবে এসব তথ্য এখনও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানা যাচ্ছে বিশেষ সূত্র মারফত। কারণ রাজ্যের তরফে এখনও টাকা বৃদ্ধির বিষয়ে কোনো বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি। তবে ২০২৬ সালের ভোটের আগে যে কোনো না কোনো সুখবর আসতে পারে এমনটা সাফ জানাচ্ছেন রাজ্যের বিভিন্ন আধিকারিকরা।
এদিকে নতুন আবেদনকারীদের জন্য রয়েছে দারুন খবর। খবর রয়েছে রাজ্যের তরফে নতুন আবেদনকারীদের ভেরিফিকেশন করার কাজ প্রায় শেষের দিকে। ফলে চলতি মে মাসে অথবা জুন মাস থেকেই সম্ভবত নতুন আবেদনকারীরাও লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের দ্বারা লাভবান হতে চলেছেন। এটি মূলত ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে যারা আবেদন করেছেন তাদের জন্যই প্রযোজ্য। এক্ষেত্রে নতুন আবেদনকারীদের অপেক্ষার দিন ফুরিয়ে এসেছে বললেই চলে।
রাজ্যের অন্যতম সুপারহিট প্রকল্প এই লক্ষ্মীর ভান্ডার যেখানে মহিলারা মাসিক ১০০০ এবং বার্ষিক ১২০০০ টাকার আর্থিক সাহায্য পেয়ে থাকেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের থেকে। সবশেষে বলা যায় আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই লক্ষ্মীর ভান্ডারের নতুন এবং পুরানো আবেদনকারীদের জন্য সুখবর আসতে পারে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেই। তাই সকলের নজর এখন রয়েছে নবান্নের উপরেই।
