Krishak Bandhu Prakalpa New Update: রাজ্যের কৃষকদের আর্থিক নিরাপত্তা দিতে সরকারের অন্যতম বিখ্যাত প্রকল্পের নাম হলো কৃষক বন্ধু প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের কৃষকদের বিভিন্ন মরশুমে ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে বছরে দুবার দুটি কিস্তিতে আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে। একই ভাবে ২০২৫ সালের খরিফ মরশুমের অর্থাৎ প্রথম কিস্তির টাকা কবে ঢুকবে সেই নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা।
তবে চিন্তার দিন এবার শেষ অবশেষে সরকারের তরফে কৃষকদের জন্য এলো গরম খবর। কবে থেকে দেওয়া হবে এই প্রথম কিস্তির টাকা? এবার দিনক্ষণ জানালো রাজ্য সরকার। এছাড়াও আলু চাষীদের জন্য রয়েছে বড় খবর। বিশদে জানতে আজকের প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।
সরকারী তথ্য অনুযায়ী এই প্রকল্পের মাধ্যমে যে সমস্ত কৃষকদের নূন্যতম ১ একর বা তার বেশি পরিমাণ চাষ জমি রয়েছে তাদের জমির পরিমাণের উপর ভিত্তি করে এক বছরে মোট দুটি কিস্তিতে সর্বনিম্ন ৪০০০ টাকা অর্থ সাহায্য দেওয়া হয়। এছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় কৃষকের মৃত্যু ঘটলে মৃত কৃষকের পরিবারে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাবস্থাও রয়েছে।
খরিফ মরশুমে অর্থাৎ প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়ার সময় রয়েছে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে, এছাড়া দ্বিতীয় কিস্তি অর্থাৎ রবি মরশুমের আর্থিক সাহায্য পাওয়ার সময়সীমা হলো অক্টোবর মাস থেকে পরবর্তী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত। ফেব্রুয়ারি শেষ হয়ে শুরু হচ্ছে মার্চ। এরই মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হলে কবে ঢুকবে টাকা। ব্লক অফিস সূত্রে জানানো হয়েছে আর অপেক্ষা করতে হবেনা কৃষকদের।
জানা যাচ্ছে এর আগের মরশুমে খরিফ শষ্যের টাকা দেওয়া হয়েছিল জুন মাসে। তবে ২০২৫ সাল থেকে এবার সেই টাকাই কৃষকদের একাউন্টে দেওয়া হবে এপ্রিলের শুরুতেই। ব্লক অফিস সূত্রের খবর এক্ষেত্রে পুরানো কৃষকদের টাকা তুলনামূলক আগে দেওয়া হবে। নবান্ন থেকে সবুজ সংকেত পেলেই শুরু হবে এই টাকা দেওয়া। যেসব কৃষকরা সম্প্রতি হওয়া দুয়ারে সরকার থেকে আবেদন হয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে টাকা দেওয়ার বিষয়ে কিছুটা বিলম্ব হবে বলেই জানিয়েছে ব্লক অফিস।
আলু চাষীদের জন্য সুখবর:
এছাড়াও রাজ্যের আলু চাষীদের জন্যও রয়েছে সুখবর। সম্প্রতি অসময়ে অতিবৃষ্টির কারণে DVC-এর তরফে জল ছাড়ার জন্য প্রবল ক্ষতির মুখে পড়ে রাজ্যের আলু চাষীরা। তবে এর জন্য আলুর সহায়ক মূল্য বাড়িয়ে ৯০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় সরকার। তবে চিন্তা ছিল কবে সেই টাকা পাওয়া যাবে।
এরই মধ্যে জানা যাচ্ছে আগামী ১লা মার্চ থেকে শুরু করে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত চলবে এই আলু কেনার প্রক্রিয়া। যেখানে এবার সর্বমোট ১১ লক্ষ টন আলু কেনার লক্ষ্য রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে আলু কৃষকরা মাথাপিছু ৩৫ কুইন্ট্যাল পর্যন্ত আলু বিক্রি করার সুযোগ পাবেন।