কৃষক এবং কৃষিকাজ হলো ভারতীয় অর্থনীতির মূল ভিত্তি এই কথা নিশ্চই কারো অজানা নেই। সেই ইতিহাসের যুগ থেকেই ভারতীয় অর্থনীতিতে কৃষকদের অবদান অসীম বলেই জানা যায়। আর বর্তমানেও সাধারণ মানুষের অন্নভার নিতে দেশের সমস্ত কৃষকরাই অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। দেশ জুড়ে কৃষকদের জন্য একাধিক আর্থিক সাহায্যমূলক প্রকল্প রয়েছে।
এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় রয়েছে কৃষকবন্ধু প্রকল্প। সারাবছর আবহাওয়ার তারতম্যের জন্য বিভিন্ন সময়ে কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়েন। আর সেই সমস্যার সমাধানের জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই প্রকল্পের কথা ভাবে রাজ্য সরকার।
২০১৯ সালের ১লা জানুয়ারি এই প্রকল্পের সূচনা করা হয়। যেখানে এক একরের বেশি জমির মালিকাধীন কৃষকদের বার্ষিক ৫ হাজার টাকা এবং এক একরের কম জমির ক্ষেত্রে ২ হাজার টাকার বার্ষিক সুবিধা দিত রাজ্য সরকার।
এরপর ২০২১ সালে নতুন সংস্করণের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে সেই সাহায্যের পরিমাণ বাড়িয়ে দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়। অর্থাৎ ৫ হাজার টাকার অর্থ সাহায্য বাড়িয়ে করে দেওয়া হয় ১০ হাজার, এবং ২ হাজার টাকার অর্থ সাহায্য বাড়িয়ে করে দেওয়া হয় ৪ হাজার টাকা।
এরই মাঝে দীর্ঘদিন ধরে শোনা যাচ্ছিল আবারও বাড়তে পারে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের টাকার অঙ্ক। তবে কি সত্যিই বাড়ছে রাজ্যের তরফে কৃষকদের জন্য বরাদ্দ অর্থসাহায্যের পরিমাণ? জানতে আজকের প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।
মূলত বছরে দুটো কিস্তিতে টাকা দেওয়া হয় কৃষকদের ব্যাংক একাউন্টে। মূলত খরীফ এবং রবি মরশুমে রাজ্যের তরফের এই অর্থ সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হয় কৃষকদের কাছে। ফসল বপনের আগেই এই সাহায্য দেওয়া হয় কৃষকদের।
যাতে তারা নির্বিঘ্নে বীজ কেনা ও বপনের কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের আরেকটি ভালো দিক হলো এই প্রকল্প কৃষক এবং তাদের পরিবারের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়ে থাকে। রাজ্যের কোনো কৃষক যদি ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে কোনো দুর্ঘটনায় মারা যান তবে তার পরিবারকে সরকারের তরফে ২ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়।
মে মাসেই শুরু হয় খরীফ মরশুমের চাষ তাই এই সময়েই অর্থ সাহায্য দেয় রাজ্য সরকার। এদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে জরাগ্রস্ত কৃষকরা। ফলে এখন সকলেরই নজর রয়েছে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের অর্থ সাহায্যের দিকেই। কিন্তু সরকারের তরফে এখনও কোনো খবর না আসায় রীতিমতো চিন্তায় রয়েছেন রাজ্যের কৃষকরা। আর সেখানেই রয়েছে বড় চমক। এখনই অর্থ সাহায্যের পরিমাণ না বাড়ানো হলেও কবে ঢুকতে পারে সাহায্যের টাকা তার একটি সম্ভাব্য তারিখ জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর এই কৃষকবন্ধু প্রকল্পের প্রথম কিস্তি দেওয়ার অফিসিয়াল কাজ শুরু হতে পারে আগামী ২৮শে মে থেকেই। অর্থাৎ সব ঠিক চললে খুব শীঘ্রই চলতি মাসের ২৮ তারিখের মধ্যেই কৃষকদের একাউন্টে পৌঁছে যাবে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের টাকা। তাই সকলের নজর এখন নবান্নের দিকে।