গীতাঞ্জলি প্রকল্প: বাড়ি বানাতে রাজ্য সরকার দিচ্ছে ৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা, দেখে নিন কিভাবে আবেদন করবেন

Aindrila Dhani
Gitanjali Housing Scheme
WhatsApp Channel Follow Now

Gitanjali Housing Scheme : আজও বহু মানুষ একটু নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় দিন কাটাচ্ছেন‌। প্রাকৃতিক দুর্যোগ হোক বা নিশ্চিন্তে ঘুম সবকিছু থেকেই আমাদের রক্ষা করে বাড়ি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বহু মানুষের নিজস্ব বাড়ি নেই। যাও বা থাকার জায়গা আছে, তা কতটা নিরাপদ সেটাই প্রশ্নের। বাড়ি বানানো সহজ কাজ নয়। এর জন্য যেমন পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় ঠিক তেমন ভাবেই প্রয়োজন হয় থোক টাকার।

তার মধ্যে এই মূল্য বৃদ্ধির বাজারে টাকা জমিয়ে বাড়িতে না আরো সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন অবশ্য গৃহ ঋণ নেওয়া যায়। কিন্তু সবার পক্ষে সেই ঋণ শোধ করা সম্ভব না। তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকার গৃহহীনদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার লক্ষ্যে নিয়ে এসেছে গীতাঞ্জলি প্রকল্প। এই প্রকল্পের দৌলতে এবার আপনিও থাকবেন পাকা বাড়িতে।

গীতাঞ্জলি প্রকল্পের বিবরণ / Overview of Gitanjali Housing Scheme

প্রকল্পের নামগীতাঞ্জলি প্রকল্প
কোন কোন রাজ্যে চালু হয়েছেপশ্চিমবঙ্গ
প্রকল্প শুরু করেছেনমুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কোন বিভাগের অন্তর্গতপশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবাসন বিভাগ
প্রকল্প শুরুর তারিখ29 মে, 2014
প্রকল্পের বর্তমান স্ট্যাটাস২০২৪ এ চালু আছে
কারা আবেদন করতে পারবেনপশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দারা
আবেদনের বয়স সীমা১৮ বছরের ঊর্ধ্বে
কি কি সুবিধা পাবেন১) গ্রামীণ অঞ্চলের মানুষেরা পাবেন 1.67 লাখ টাকা।
২) সুন্দরবন এলাকায় মানুষেরা পাবেন 1.94 লাখ টাকা।
৩) জলপাইগুড়ি জেলার বন গ্রামের মানুষেরা পাবেন 3 লাখ।
৪) নন মিউনিসিপাল ও সেমি আরবান এলাকায় মানুষেরা পাবেন 1.67 লাখ টাকা।
5) সরকারি সংস্থা বা সরকারি জমির ওপর বহুতল ভবনের জন্য পাবেন 3.30 লাখ টাকা।
গীতাঞ্জলি প্রকল্পের বিজ্ঞপ্তি ডাউনলোড লিঙ্কClick Here
অফিসিয়াল ওয়েবসাইটClick Here

গীতাঞ্জলি প্রকল্প কী( What is Gitanjali Housing Scheme)?

দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষদের সুরক্ষিত ও নিরাপদ আশ্রয় প্রদানের লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার গীতাঞ্জলি প্রকল্পের সূচনা করেছে। অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মানুষরা যাতে নিজস্ব বাসস্থান তৈরি করতে পারেন সেই দিকে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে এই প্রকল্পে। এই প্রকল্প শহরে এলাকা ও গ্রামীণ এলাকা উভয় জায়গাতেই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। গ্রামে ছয়টি বিভাগ মিলে এই প্রকল্পের দায়িত্ব সামলাচ্ছে। যথা :-

ক. সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ
খ. অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ বিভাগ
গ. মৎস্য বিভাগ
ঘ. বন বিভাগ
ঙ. সুন্দরবন বিষয়ক বিভাগ
চ. পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিষয়ক বিভাগ।

তবে WBHB ও WBHIDCO ইত্যাদি গ্রামীণ অঞ্চলে এই প্রকল্প P & RD বিভাগ দ্বারা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

গীতাঞ্জলি প্রকল্পের উদ্দেশ্য / Objectives of Gitanjali Housing Scheme

এই প্রকল্পের লক্ষ্য সমাজে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের মাথা গোজার একটা পাকাপাকি ঠাঁইয়ের ব্যবস্থা করা। এর দৌলতে নির্মাণ শ্রমিকরাও বছরে বেশ কয়েকটি কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। যে কারণে তাঁদের সংসার চালাতে অসুবিধা হচ্ছে না। সব মিলিয়ে সমাজের দুই স্তরের মানুষ উপকৃত হচ্ছেন।

গীতাঞ্জলি প্রকল্পের সুবিধা / Benefits of Gitanjali Housing Scheme

এই প্রকল্পে কিছু সুবিধা রয়েছে। যেমন-

  1. এর দৌলতে গৃহহীন ব্যক্তিরা নিজস্ব আস্তানা পান।
  2. এর দৌলতে নির্মাণ শ্রমিকরা সারা বছর কাজ পাবেন।
  3. এই প্রকল্পের সাহায্যে ইট, বালি ও সিমেন্টের দোকানদার ভালো ব্যবসা করতে পারবেন।

গীতাঞ্জলি প্রকল্পের আর্থিক সহায়তার পরিমাণ / Amount of Financial Assistance to Gitanjali Housing Scheme

গীতাঞ্জলি প্রকল্পে বাড়ি তৈরির জন্য আবেদনকারীকে নির্দিষ্ট পরিমাণ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। তবে এটি নির্ভর করে আবেদনকারীর জমি কোথায় আছে তার ওপর।

  1. যদি আবেদনকারীর জমি সমতল এলাকার গ্রামীণ অঞ্চলে স্থিত হয় তাহলে তিনি 1.67 লাখ টাকা মতো পাবেন।
  2. সুন্দরবন এলাকায় জমি হলে আবেদনকারী 1.94 লাখ টাকা মতো আর্থিক সহায়তা পাবেন।
  3. দার্জিলিং সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন পার্বত্য এলাকায় জমি হলে আবেদনকারী 2.5 লাখ টাকার মতো আর্থিক সুবিধা পাবেন।
  4. জলপাইগুড়ি জেলার বন গ্রামে জমি হলে আবেদনকারী 3 লাখ টাকা মতো আর্থিক সহায়তা পাবেন।
  5. নন মিউনিসিপাল ও সেমি আরবান এলাকায় একতলা ভবনের জন্য 1.67 লাখ টাকা পাবেন।
  6. সরকারি সংস্থা বা সরকারি জমির ওপর বহুতল ভবনের জন্য 3.30 লাখ টাকা দেওয়া হবে।

গীতাঞ্জলি প্রকল্পে কারা আবেদন করতে পারবেন(Who can apply for Gitanjali Housing Scheme)?

গীতাঞ্জলি প্রকল্পে গৃহহীন মানুষরা আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু তাঁদের নামে নিজস্ব জমি থাকতে হবে। এছাড়া মাসিক আয় 6 হাজার টাকার নিচে হতে হবে।

কিভাবে গীতাঞ্জলি প্রকল্পে আবেদন করা যাবে(How to apply for Gitanjali scheme)?

গীতাঞ্জলি প্রকল্পে অফলাইনে আবেদন করা যাবে।

গীতাঞ্জলি প্রকল্পে আবেদনের পদ্ধতি / Application Procedure for Gitanjali Housing Scheme

এই প্রকল্পে আবেদন করার জন্য সবার প্রথমে SDO অফিসে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। তবে আপনারা চাইলে ব্লক আধিকারিক অফিসেও যোগাযোগ করতে পারেন। সেখান থেকে আপনাদের সমস্ত সাহায্য করা হবে। গীতাঞ্জলি প্রকল্পের কাজ সহজভাবে হওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে একজন জেলাশাসক ও একজন অতিরিক্ত জেলা শাসক নিয়োগ করা হয়েছে।

জেলাশাসক ও অতিরিক্ত জেলাশাসক আপনার আবেদনপত্রে দেওয়া সকল তথ্য খতিয়ে দেখবেন। এছাড়া আপনার জমা করার নথি আসল কিনা সেই নিয়েও তদন্ত করবেন। সমস্ত কিছু নিয়মমাফিক সম্পন্ন হওয়ার পর আপনার একাউন্টে টাকা পাঠানো হবে।

গীতাঞ্জলি প্রকল্পে আবেদনের শর্তাবলী / Application Conditions for Gitanjali Housing Scheme

  1. এই প্রকল্পে আবেদন করার জন্য পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
  2. এই প্রকল্পে আবেদন করতে গেলে আবেদনকারীকে গৃহহীন হতে হবে।
  3. আবেদন করার জন্য আবেদনকারীর কাছে নিজস্ব জমি থাকতে হবে।
  4. নিজস্ব জমি থাকলেও পাকা বাড়ি থাকলে চলবে না।
  5. জমি সংক্রান্ত কোনো আইনি জটিলতা থাকলে চলবে না।
  6. মাসিক আয় 6 হাজার টাকার নিচে হতে হবে।

গীতাঞ্জলি প্রকল্পের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক:

গীতাঞ্জলি প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট লিঙ্কClick Here
গীতাঞ্জলি প্রকল্পের বিজ্ঞপ্তি ডাউনলোড লিঙ্কClick Here
গীতাঞ্জলি প্রকল্পের আবেদনের ফর্ম ডাউনলোড লিঙ্কClick Here
গীতাঞ্জলি প্রকল্পের আবেদনের স্ট্যাটাস চেক করার লিঙ্ক Click Here
গীতাঞ্জলি প্রকল্পের আবেদনের নিয়ামাবলিClick Here
WhatsApp Channel Follow Now
Telegram Channel Follow Now
Share This Article
Leave a comment