Central Government Schemes : রাজ্য সরকারের মত কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের জনসাধারণের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প ব্যবস্থা করেছেন যাতে করে ভারতের সকল মানুষের পাশে তাঁরা থাকতে পারেন। সমাজের উচ্চবিত্ত থেকে দারিদ্র সীমার নিচে থাকা মানুষদের জন্য তাঁরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবার চেষ্টা করেছেন। আসুন আজকে জেনে নিই কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে :
তাহলে এবার দেখে নিন কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প গুলি কী কী ও তার বিবরণ। List of Central Government Schemes
Download Central Government Schemes List | Click Here |
কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলির তালিকা ডাউনলোড করুন | Click Here |
১) বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও (২০১৫ )
২২ শে জানুয়ারি ২০১৫ সালে হরিয়ানার পানিপথে এই কর্মসূচির সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি । এই অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল কন্যা সন্তানকেও পুত্র সন্তানের পাশাপাশি সমান গুরুত্ব দেওয়ার। নারীদের ক্ষমতায়নের বিষয়ের উপরেই মূলত জোর দেওয়া হয়েছে এই অভিযানে।
২) স্বচ্ছ ভারত মিশন (২০১৪ )
২০১৪ সালের ২রা অক্টোবর স্বচ্ছ ভারত মিশন অভিযান শুরু হয় ভারত সরকারের এই প্রকল্পের স্লোগানই হল পরিচ্ছন্নতার দিকে এক ধাপ। ২০১৪ সালের ২রা অক্টোবর নতুন দিল্লির রাজঘাটে সমাধি পরিসরে এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়, যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং রাস্তা পরিষ্কার করেন। তিনি ছাড়াও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিল প্রায় ৩০ লক্ষ সরকারি কর্মচারী ও ছাত্ররা।
৩) আয়ুষ্মান ভারত যোজনা (২০১৮)
এই যোজনাটি হল প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির একটি জাতীয় জনস্বাস্থ্য বীমা প্রকল্প যার লক্ষ্য হলো দেশের নিম্ন আয়ের উপার্জনকারীদের জন্য বিনামূল্যের স্বাস্থ্য বীমা কভারেজ প্রদান করা। ২০১৮ সালের ২৩ শে সেপ্টেম্বর এই যোজনাটির চালু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । ভারতের প্রায় ৫০ কোটি নাগরিকদের এই যোজনার আওতায় আনা গিয়েছে।
এই যোজনার মধ্যে সাধারণ মানুষরা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বীমা কভারেজ পাবে যার মধ্যে চিকিৎসা খরচ ওষুধ ডায়াগনস্টিক প্রাক্ হাসপাতালে ভর্তির খরচ সমস্ত কিছুই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই আয়ুষ্মান স্বাস্থ্য কার্ডের মাধ্যমে নগদবিহীন হাসপাতালে ভর্তির পরিষেবায় সুবিধা পাচ্ছে দেশবাসী। বর্তমানে আয়ুষ্মান ভারত যোজনা এই নামটির বদলে প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা নামটির বেশি ব্যপ্তি ঘটেছে।
৪) নমামিগঙ্গে (২০১৪ )
২০১৪ সালের জুন মাসে নদীর দূষণ কমাতে, সুস্থ জীবনের জন্য এই নমামি গঙ্গে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। যেটিকে কেন্দ্রীয় সরকার ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। নমামি গঙ্গে কর্মসূচির মূল কৃতিত্ব গুলি হল- স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট ক্যাপাসিটি তৈরি করা, রিভার ফ্রন্ট ডেভেলপমেন্ট তৈরি করা, জৈব বৈচিত্র সংরক্ষণ, নদী পৃষ্ঠ পরিষ্কার করা ইত্যাদি।
৫) মেক ইন বিনিয়োগ (২০১৪)
আজ থেকে ৯ বছর আগে অর্থাৎ ২০১৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর এই মেক ইন ইন্ডিয়ার উদ্যোগটি নেয়া হয়। অফিশিয়াল ওয়েবসাইটটি হল http://www.makeinindia.com/। মেকিং ইন্ডিয়া এই প্রকল্পটি ভারত সরকারের কাছে বিনিয়োগের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা মাধ্যম। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো ভারতকে একটি বৈশ্বিক নকশা ও উৎপাদন রপ্তানির কেন্দ্রে পরিণত করা।
৬) সর্বশিক্ষা যোজনা (২০০০)
ভারতে শিক্ষার বিষয় থেকে বঞ্চিত হয়ে রয়েছে অসংখ্য শিশুরা, যারা অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ার দরুন শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে না। আমাদেরই সমাজে আর্থিকভাবে দুর্দশাগ্রস্ত ব্যক্তিদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্যের স্বীকারও হতে হয়। সে কারণেই এই অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া শিশুরা যাতে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয় সেই উদ্দেশ্যেই ভারত সরকার সর্বশিক্ষা অভিযান সংক্ষেপে এসএসসি প্রকল্পটি চালু করেছে। ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সি ছাত্ররা এই সর্বশিক্ষা অভিযান প্রকল্পের জন্য আবেদন করার যোগ্য। এই যোজনার লক্ষ্য হল “পড়ে ভারত বাধে ভারত”। এই যোজনার ও বাস্তব জীবনের উদাহরণের মাধ্যমে ছাত্রদের গণিতের প্রতি আগ্রহ বাড়িয়ে তোলে।
৭) জন ধন যোজনা ২০১৪
২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জন ধন যোজনার সূচনা করেন। এই যোজনার মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতে জনগণের বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে ব্যাঙ্কিং সুবিধা পৌঁছে দেওয়া। এই যোজনায় আগে ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী মানুষেরা আবেদন করতে পারতেন বর্তমানে তা বাড়িয়ে ১৮ থেকে ৬৫ বছর পর্যন্ত করা হয়েছে।
৮) ইন্দিরা আবাস যোজনা( ১৯৮৫ )
এটি একটি সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মসূচি ২০১৫ সাল থেকে ২০২২ সালে মধ্যে এরকমই আরেকটি স্কিম শহরের দরিদ্র মানুষের জন্য চালু করা হয়েছিল। বিপিএল কার্ডের সুবিধা ভোগী পরিবারগুলি এই ইন্দিরা আবাস যোজনায় আবেদনের যোগ্য।
৯) মিড ডে মিল (১৯৯৫ )
১৯৯৫ সালে সমস্ত স্কুল পড়ুয়ারদের উদ্দেশ্যে এই মিড ডে মিল প্রকল্প চালু করে কেন্দ্রীয় সরকার ।এতে করে স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যাহ্ন ভোজনের ব্যবস্থা করা হয়, যাতে ছাত্রছাত্রীদের পুষ্টি পায় সেদিকেও বিশেষ নজর রাখা হয়।
১০) স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া স্কিম (২০১৬)
২০১৬ সালের ১৫ এপ্রিল এই স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া স্কিম চালু করা হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মহিলাদের এবং এস টি এস টি সম্প্রদায়ের উন্নতি স্বার্থে এই স্কিমটি চালু করেন। এই স্কিমটির উদ্দেশ্য সারাদেশে যে সব ধরনের ব্যবসা রয়েছে তার বিকাশ ও বিকাশের সাহায্য করা। তপসিলি বিভাগের মহিলারা তাদের পণ্যগুলি লাইম লাইটে আনতে পারে এবং তাদের ব্যবসার মাধ্যমে মুনাফা লাভ করতে পারে।
স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া স্কিম থেকে বেনিফিট লোন পাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। মহিলা ও তপশিলি জাতি উপজাতিদের মধ্যে উদ্যোক্তা বাড়াতেই এই উদ্যোগ। এই স্কিমটি দেখাশোনা করেন ডিপার্টমেন্ট অফ ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস সংক্ষেপে ডিএফএস অর্থমন্ত্রক ও ভারত সরকার।
১১) প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা ২০১৬
২০১৬ সালের ১লা মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দারিদ্র সীমার নিচে থাকা পরিবারগুলির উদ্দেশ্যে চালু করেন এই উজ্জ্বলা যোজনা। দারিদ্র সীমার নিচে থাকা পরিবারগুলিকে এলপিজির সংযোগে বিশেষ ভর্তুকি দেবার কথা ঘোষণা করে সরকার।
১২) অটল পেনশন যোজনা
অটল পেনশন যোজনা শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালের ৯ই মে। এই যোজনায় ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সি অসংগঠিত ক্ষেত্রের মানুষদের জন্য একটি মাসিক পেনশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যার ফলে উপকৃত হচ্ছেন একটি বিরাট অংশের মানুষ।
১৩) দীনদয়াল উপাধ্যায় অন্তর্দয় যোজনা
দীনদয়াল উপাধ্যায় অন্ত্যোদয় যোজনায় সরকার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। মূলত ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দরিদ্রদের সাহায্য করার লক্ষ্য নিয়ে এই প্রকল্প চালু করেছে ভারত সরকার। এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল ২০১৬ সাল থেকে প্রতিবছর শহর কেন্দ্রের ০.৫ লক্ষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং গ্রামীণ এলাকায় ২০১জনের মধ্যে ১ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে করে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী গ্রামীণ ও শহরে উন্নয়ন ঘটে।
১৪) প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বীমা যোজনা :
প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বীমা প্রকল্পটি যাত্রাপথ শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালের ৯ই মে সাধারণ মানুষের জন্য একটি ন্যূনতম প্রিমিয়ামের ব্যবস্থা করা হয়েছে সরকারের তরফ থেকে যাতে করে সকল মানুষকে জীবনের বীমার আওতায় আনা যায়। বছরে মাত্র ৩৩০ টাকার প্রিমিয়ামে ২ লক্ষ টাকার জীবন বীমার কভারেজ পাবেন সাধারণ মানুষ এই যোজনায় আবেদন করতে পারবেন ১৮ বছর বয়স থেকে ৫০ বছর বয়সী মানুষেরাই।
১৫) প্রধানমন্ত্রী মাতৃত্ব বন্দনা যোজনা
গর্ভবতী মহিলাদের উদ্দেশ্যে সরকারের এই মাতৃত্ব বন্দনা যোজনা। এই যোজনায় ভারত সরকার উদ্যোগী হয়েছেন যে সমস্ত গর্ভবতী মহিলারা রয়েছেন এবং যারা স্তন্যপান করান সেই সব মায়েদের একটি আর্থিক সাহায্য প্রদান করা। মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের কথা খেয়াল রেখে কেন্দ্রীয় সরকার ৫০০০ টাকার অর্থপ্রদান করে থাকেন। এই টাকা সরাসরি মহিলাদের ব্যাঙ্ক অথবা পোস্ট অফিস অ্যাকাউন্টে সরাসরি তিন কিস্তির মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হয়।
১৬) রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনা:
ভারতবর্ষ কৃষি প্রধান দেশ, তাই কৃষিকে একটি লাভজনক অর্থনৈতিক কার্যকলাপে পরিণত করার জন্য রাজ্য সরকারের এই রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনা আয়োজন। যাতে করে কৃষকদের প্রচেষ্টা ঝুঁকি ও কৃষি ব্যবসাকে আরো শক্তিশালী করা যায়, তাই কৃষি ও সংশ্লিষ্ট খাতে যাতে সরকারি বিনিয়োগ আরো বাড়ানো যায় তারই প্রচেষ্টা স্বরূপ এই রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনা উদ্ভব।
১৭) প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা
প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা পথচলা শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালের ১৬ ই জুলাই অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় আট বছর আগে। এই যোজনা প্রধানমন্ত্রীর যুব প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নামেও বেশ পরিচিত। এটি মূলত ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন দ্বারা বাস্তবায়িত দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তামন্ত্রক দ্বারা পরিচালিত।এই স্কিমের উদ্দেশ্যই হল ভারতীয় যুবক যুবতীদের শিল্প প্রাসঙ্গিক দক্ষতা প্রশিক্ষণ দেওয়া, যাতে তারা একটি উন্নত জীবিকা গ্রহণ করতে পারে। এই যোজনায় আবেদন করবার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট টি হল www.pmkvyofficial.org
১৮) প্রধানমন্ত্রী আদর্শ গ্রাম যোজনা:
প্রধানমন্ত্রী আদর্শ গ্রাম যোজনা হল একটি গ্রামীণ উন্নয়ন কর্মসূচি। ২০০৯-২০১০ আর্থিক বছরে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের হাত ধরে এই যোজনাটি চালু হয়েছিল। আদর্শ গ্রাম অর্থাৎ মডেল গ্রাম তৈরি করা যেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে মানুষের ন্যূনতম চাহিদাগুলো পূরণ করতে পারবে। লক্ষ্য হলো গ্রাম নিয়ে উচ্চতর উন্নয়ন কর্মসূচি আনা। যেমন প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা আবাসন যোজনা বিদ্যুৎ প্রদান সর্বশিক্ষা অভিযান সহ অন্যান্য বড় বড় প্রকল্প গড়ে তোলা, তাহলেই একটি আদর্শ গ্রাম গড়ে উঠতে পারে।
১৯) অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনা
অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনা হল ভারতের দারিদ্র্যসীমা নিচে থাকা যে লক্ষাধিক পরিবারের কাছে সুলভ মূল্যে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া। আজ থেকে ২৩ বছর আগে অর্থাৎ ২০০০ সালে ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ী এই অন্ন যোজনার চালু করেছিলেন, এতে দারিদ্র সীমার নিচে থাকা প্রতিটি পরিবার সরকারের থেকে ভর্তুকি মারফত ৩৫ কিলো চাল ও গম পায় । প্রতি কিলো চালের মূল্য ৩ টাকা ও প্রতি কেজি গমের মূল্য ২ টাকা। লক্ষাধিক পরিবার এই অন্ন যোজনা আওতায় উপকৃত হচ্ছেন।
২০) হৃদয় যোজনা
২০১৫ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি এই যোজনা শুরু হয়। এই যোজনার উদ্দেশ্য হল বিশ্বের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলির যত্ন নেয়া এবং এই শহরগুলির অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটানো।
২১) স্মার্ট সিটি পরিকল্পনা
২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশের নির্বাচিত ১০০ টি শহরকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এই পরিকল্পনা শুরু করা হয় ২০১৫ সালের ২৫ শে জুন থেকে।
২২) প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তা বীমা যোজনা
১৮ থেকে ৭০ বছর বয়সী মানুষদের জীবনকে নিরাপত্তা দেবার জন্য এই বিমার ঘোষণা করা হয়েছে। এতে করে মানুষ সাধারণ বীমা বা দুর্ঘটনা বীমা পাবে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত।
২৩) উজ্জ্বলা স্কিম :
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাধারণ মানুষের ও সরকারের উভয়েরই বিদ্যুৎ খরচ কমানোর জন্য কম দামে এলইডি বাল্ব বিতরণের মতো প্রকল্প শুরু করেছেন ,আশা করা যায় আগামী দিনে এতে লাভবান হবেন সবাই।
২৪) সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা :
২০১৫ সালে কন্যা সন্তানদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকার এই সঞ্চয় প্রকল্পটি চালু করে। এই যোজনায় ন্যূনতম আড়াইশো টাকা ও সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত জমা রাখতে পারবেন আমানতকারীরা যাতে একটি নিশ্চিত রিটার্নও পাবেন তাঁরা। অ্যাকাউন্ট খোলার তারিখ থেকে ২১ বছর পূর্ণ হওয়ার পরে তা পরিপক্ক হয়। মেয়ের নামে অ্যাকাউন্ট থাকলে সেই মেয়েটি পাবে সঞ্চিত টাকা সাথে সুদের পরিমাণ।
২৫) প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর যোজনা :
প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর যোজনা হল বিনামূল্যে মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার একটি পরিকল্পনা। দেশের এক কোটি মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারগুলির বাড়িতে যাতে সোলার প্যানেল বসানো যায় তার ব্যবস্থা করে দেবে সরকার, এমনকি কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি মাসে ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎও প্রদান করবে তাও আবার বিনামূল্যে, ভাবা যায়।
২৬) প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা :
ভারতের গ্রামীন দরিদ্র পরিবারগুলিকে আবাসন তৈরি করে দেবার জন্য বদ্ধপরিকর হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার তাই প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা টি চালু করা হয়েছে এটি সামাজিক কল্যাণমূলক একটি কর্মসূচি তবে গ্রামীন এলাকায় শুরু হলেও শহরাঞ্চলে ২০১৫ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এই আবাসন প্রকল্প চালু করা হয়েছিল।
১৯৮৫ সালে রাজীব গান্ধীর দ্বারা চালু হয়েছিল ইন্দিরা আবাস যোজনা এটি গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রকের প্রধান ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম হিসেবে বিবেচিত হয়েছিলো। ২০১৬ সালের পয়লা এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির হাত দিয়ে চালু হয় প্রধানমন্ত্রী গ্রামীনা যোজনা যাতে বহু মানুষ উপকৃত হচ্ছেন।
২৭) প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা :
মহিলা সম্মান সঞ্চয় শংসাপত্র, 2023 হল সরকারের একটি ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প। নারী সুবিধাভোগীদের জন্য ভারতের। এর লক্ষ্য ভারতের মহিলাদের মধ্যে সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলা।
২৮) প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা :
প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনাটি হল একটি শস্য বীমা যা ১৮ই ফেব্রুয়ারী ২০১৬ সালে প্রথম ভারত সরকার দ্বারা চালু করা হয়েছিল। এই যোজনার মুখ্য উদ্দেশ্য হল যে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে ফসলের ক্ষতির হাত থেকে কৃষকদের রক্ষা করতে তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা।
২৯) সামাজিক সুরক্ষা যোজনা :
সামাজিক সুরক্ষা বলতে বুঝায় সমাজের জনসাধারণের কল্যাণের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফলে এমন সব পরিস্থিতি যেমন প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা সেগুলি থেকে উত্তোলন করার সাথে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকাণ্ডের পদক্ষেপ গুলিকে বোঝায়।
৩০) জননী সুরক্ষা যোজনা :
ভারতের যে সমস্ত দারিদ্র সীমার নিচে গর্ভবতী মহিলারা রয়েছেন তাদের জন্য এই জননীর সুরক্ষা যোজনা যার মূল উদ্দেশ্য হলো নিরাপদ মাতৃত্বের হস্তক্ষে মা ও নবজাতকের মৃত্যুর হার কমানোর লক্ষ্যেই এই যোজনার বাস্তবায়ন। এই যোজনার জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে জননী সুরক্ষা যোজনায় ডেলিভারি ও পোষ্ট ডেলিভারি যত্নের জন্য সরকারের তরফ থেকে নগদ সহায়তা করা হয়ে থাকে।
৩১) PM WANI YOJANA :
পি এম ওয়ানি যোজনার সম্পূর্ণ নাম হলো প্রাইম মিনিস্টার ওয়াইফাই ইন্টারফেস, যাতে করে সরকার এবার পাবলিক প্লেসে বিনামূল্যে ওয়াইফাই হটস্পট নেটওয়ার্কের সুবিধা প্রদান করতে চলেছেন। বিনামূল্যে গ্রাহকদের ওয়াইফাই পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি আগামী দিনে বাড়িতে বিনামূল্যে ইন্টারনেটের সুবিধা পেতে চলেছেন এই পি এম ওয়ানি যোজনার মাধ্যমে।
উপরোক্ত সমস্ত প্রকল্পগুলি তেই বিপুল সংখ্যক মানুষ উপকৃত হচ্ছে। প্রতিটি ভারতবাসীর পাশে যে কেন্দ্রীয় সরকার আছে এবং প্রত্যেকের কথা তাদের চাহিদার বিষয়গুলি সরকার শুধুমাত্র মনে রাখেন না বিবেচনা করে সেই মতো কাজও করেন তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ হলো এই সমস্ত প্রকল্পগুলি আগামী দিনে আশা করা যায় ভারতবাসীর জন্য এমন আরো কল্যাণমূলক প্রকল্প আমরা পেতে চলেছি যাতে করে সর্বধর্ম সমন্বিত আমাদের এই ভারত বর্ষ এক দিন শ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করবে।